ঢাকা হবে শান্তির জনপদ। এখানে কারও জমিদারি চলবে না। এখানে কোনো সন্ত্রাসীর স্থান হবে না। তিনি বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। কোনো বাধা বা ষড়যন্ত্রই আমরা মানব না। গতকাল দুপুরে রাজধানীর হাজারীবাগের ঝাউচর বেড়িবাঁধ এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার ১৩তম দিনে গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্মমহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, মহানগরী দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, যুবদল নেতা মোরতাজুল করিম বাদরু, মাহবুবুল হাসান পিংকুসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। ইশরাক হোসেন বলেন, এ শহরকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। এ থেকে উত্তরণ ঘটাতে আমাদের একটা পরিবর্তন দরকার। সে পরিবর্তন ঘটানোর ১ ফেব্রুয়ারি একটা সুবর্ণ সুযোগ। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রাপ্ত বাংলাদেশের মূলমন্ত্র জনগণ হবে ক্ষমতার মালিক। জনগণ হবে রাষ্ট্রের মালিক। সেই অধিকার পুনঃ প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ আবারও এসেছে। হাজারীবাগ থেকে প্রচারণা শুরুর পর কামরাঙ্গীর চরের বড়গ্রাম, বড়বাজার হয়ে চকবাজারের ইসলামবাগ মাঠে পথসভা করা হয়। এরপর ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৫৫, ৫৬, ৫৭, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ শেষে নেতা-কর্মীরা লালবাগ শাহি মসজিদে আসরের নামাজ আদায় করেন। এরপর আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকায় গণসংযোগ শেষে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াবাজারে গিয়ে এদিনের মতো প্রচারণা শেষ করেন। গণসংযোগকালে ইশরাক হোসেন বলেন, গত মঙ্গলবার আমাদের উত্তরের মেয়র প্রার্থীর ওপর পেছন থেকে কাপুরুষোচিত ও ন্যক্কারজনক হামলা হয়েছে। ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা হতে চলল, কিন্তু এখনো একটা গ্রেফতারও আমরা দেখতে পেলাম না।
পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, আপনারা আপনাদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করুন।
নির্বাচন কমিশনের ওপর যে সাংবিধানিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আপনারা তা পালন করুন। আপনারা নিরপেক্ষ থাকুন, জনগণের পক্ষে থাকুন। ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র প্রার্থী বলেন, ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে আমি আমার বাবার সঙ্গে সব সময় আলাপ করতাম। তিনি আমায় বলতেন, বাংলাদেশ হয়েছিল গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্য। যেখানে হবে জনগণ রাষ্ট্রের মালিক। জনগণ হবে ক্ষমতার মালিক। কিন্তু আমরা আজ লক্ষ্য করছি, শুধু একটি রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে যারা আছেন তারাই দখলদারিত্ব করে যাচ্ছেন। আমরা এটা মানব না। শুনেছি ঢাকা শহরে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, আমরা কোনো ষড়যন্ত্র মানব না।
এ প্রচারাভিযানের মাধ্যমে আজকে ঢাকাকে মুক্ত ঘোষণা করলাম। কোনো সন্ত্রাসীকে আমরা সুযোগ দেব না। অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, প্রবীণরা যেসব জায়গায় ব্যর্থ হয়েছেন সেসব জায়গায় সফলতার মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন মানুষের স্বপ্ন পূরণ করবেন। তার মাধ্যমেই ঢাকাবাসীর স্বপ্ন পূরণ হবে।
বিশিষ্ট এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, ইশরাক যোগ্য প্রার্থী, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছেন।
আমরা মনেপ্রাণে সবাই মিলে এ আশা পোষণ করি যে, আমরা বয়স্ক-বৃদ্ধরা যেখানে ব্যর্থ হয়েছি, ইশরাক হোসেনের মাধ্যমে আমরা সেটা পূর্ণ করব। তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া শুধু দেশনেত্রী নন, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতীক। তিনি ২ কোটি টাকার একটি পয়সাও খরচ করেননি। সেটি এখন অনেক বেড়েছে। কিন্তু তাঁকে অন্যায়ভাবে কারাগারে রাখা হয়েছে। তাঁকে আমরা মুক্ত করতে চাই। নির্বাচনে জয়ী হতে চাই।